নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত ও প্রতীক্ষিত দেশের সর্ববৃহৎ পদ্মাসেতু ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ বিভাগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পদ্মাসেতুর শেষ স্প্যানটি আজ বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এই সেতুর পুরো মূল কাঠামো দৃশ্যমাণ হয়। এতে রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ তৈরি হলো।
এই বিষয়ে আনোয়ারুল বলেন, পদ্মাসেতু এখন পুরোপুরি দৃশ্যমান। আমার ধারণা ২০২২ সালের জুনে যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মাসেতু খুলে দেয়া সম্ভব হবে।
এ সময় নিজের মোবাইলে থাকা পদ্মা সেতুর পুরো কাঠামোর একটি ছবি অনুষ্ঠানস্থলের প্রোজেক্টরে দেখিয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, আমি আট বছর সেতু বিভাগের সচিব ছিলাম। ফলে আমি এখনও এর দেখাশোনা করে থাকি।
অনুষ্ঠানটি ছিল ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভা।
ওই অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার, সিপিডির সিনিয়র গবেষক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, ইকোনোমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদ জহির, এমসিসিআইর সভাপতি নিহাদ কবির, ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনজি টেরিংক প্রমুখ।