মো.শামীম হোসেন,সাভার:
সাভারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উদ্যোগে হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির বাস্তবায়নের উপলক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুসরাত জাহান সাথী ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মিজবাহ উদ্দিন।
মতবিনিময় সভায় সাভার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন খান নঈম, সাভার প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ আচার্য, এনটিভির সিনিয়র সাংবাদিক জাহিদুর রহমান, এটিএন বাংলার সাংবাদিক শেখ আবুল বাশার, চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক জাকির হোসেন, জিটিভির সাংবাদিক আজিম উদ্দিন, গ্লোবাল টিভির তোফায়েল হোসেন তোফা সানি, দৈনিক এশিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক মোঃ শামীম হোসেনসহ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়েমুল হুদা সাংবাদিকদের জানান, সাভার উপজেলায় আগামী ১২ ডিসেম্বর শনিবার থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে শনিবার থেকে। ৬ সপ্তাহব্যাপী এ টিকাদান ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে হাম-রুবেলা টিকার গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে অবহিত করেন এবং হাম-রুবেলা টিকা ক্যাম্পেইন সফল করতে সকল সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, হাম নির্মূল ও রুবেলা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ক্যাম্পেইন চলাকালে সারাদেশে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচের প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হবে।
চলমান কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বিবেচনা করে দেশে বিদ্যমান শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরিধান করা, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন ও সঠিক পদ্ধতিতে হাত ধোয়া ইত্যাদি স্বাস্থ্য সুরক্ষামূলক নিয়মাবলী যথাযথ প্রতিপালন সাপেক্ষে ক্যাম্পেইনটি পরিচালিত হবে।
বক্তারা আরো বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) ১৯৭৯ সাল থেকে শিশুদের বিভিন্ন সংক্রামক রোগজনিত মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
ইপিআই-এর অন্যান্য লক্ষ্যসমূহের মধ্যে ২০২২ সাল নাগাদ জাতীয় পর্যায়ে হাম-রুবেলা টিকার কভারেজ শতকরা ৯৫ ভাগে উন্নীতকরণ এবং ২০২৩ সাল নাগাদ হাম-রুবেলা দূরীকরণ অন্যতম।
হাম-রুবেলা রোগ ও এর জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়ার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো সঠিক সময়ে শিশুকে হাম-রুবেলা (এমআর) টিকা দেওয়া। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে শিশুদের ৯ মাস ও ১৫ মাস বয়সে মোট ২ ডোজ এমআর টিকা দেওয়া হয়ে থাকে।