অনলাইন ডেস্ক:
শ্রুতিমধুর নয়, এমন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) এমন সব বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের জন্য সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, সারাদেশে এমন কিছু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম আছে যা শ্রুতিমধুর নয় এবং ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে শোভন নয়। যা নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হচ্ছে।
এরূপ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে শোভনীয় নামকরণের প্রস্তাব যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে অধিদপ্তরে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে যে, ইতোমধ্যে নীলফামারী জেলাধীন সদর উপজেলার মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে মানুষগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্মসচিব) খালিদ আহম্মেদ স্বাক্ষরিত চিঠি প্রাথমিক শিক্ষার ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপপরিচালকেও পাঠানো হয়।
সারাদেশে অনেক স্কুলের নাম নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে সরকার। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ‘মানুষমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র নাম পরিবর্তন করে ‘মানুষগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামকরণ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাহানারা রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তন করার কথা জানানো হয়।
ওই সময় উপসচিব জাহানারা রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির নাম পরিবর্তনের জন্য নীলফামারী জেলা প্রশাসন ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সম্মিলিতভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে স্কুলটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রস্তাব পেলে এরকম আরও কিছু স্কুলের নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান জাহানারা রহমান।