নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ পুলিশের অনেক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। এতে বিব্রত বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।তাই ভাবমূর্তি ফেরানোর অংশ হিসেবে ডোপ টেস্ট করে মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ডোপ টেস্টে এ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৭৩ মাদকাসক্ত সদস্যকে সনাক্ত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১০ জনকে চাকরিচ্যুতও করা হয়েছেেএরি ধারাবাহিকতায় চলতি সপ্তাহে আরও ১৮ জন পুলিশ সদস্যের চাকরিচ্যুতির আদেশ জারি হবে।
ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া একটা লম্বা প্রক্রিয়া। সে প্রক্রিয়া শেষ করে ইতিমধ্যে ১০ সদস্যের চাকরিচ্যুত চূড়ান্ত আদেশ জারি করা হয়েছে। আর বাকি ১৮ জনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুতির সাময়িক আদেশ জারি হয়েছে। সামনের সপ্তাহনাগাদ এই ১৮ জনের চূড়ান্ত আদেশ জারি হয়ে যাবে। যখন দেখি সতর্ক করে কাজ হচ্ছে না, তখন ডোপ টেস্ট করে পজিটিভ হলে একই প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসার কাজগুলো অব্যাহত আছে।
অনেক সময় মাদক দিয়ে নিরীহ ব্যক্তিদের ফাঁসানোর অভিযোগও আছে এক শ্রেণীর অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে। কাউকে ফাঁসানোর চেষ্টা হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মাদক দিয়ে সাধারণ মানুষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে এই রকম অভিযোগ পেলে সরাসরি ক্রিমিন্যাল মামলায় দেয়া হচ্ছে। মাদক দিয়ে যে লোকটিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে সে যেহেতু প্রকৃতপক্ষে এই মাদকটা বহন করছিল না তার মানে এই মাদক আপনার হেফাজতে ছিল।
সুতরাং তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে মামলা হবে। মাদক-সংশ্লিষ্ট কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান তিনি।