নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভাস্কর্যের বিরোধিতার মধ্যে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর নির্মাণাধীন ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ। ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ,মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
প্রতিবাদ সমাবেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। সেইসঙ্গে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনারও দাবি তোলেন প্রতিবাদকারীরা।
রোববারও (৬ ডিসেম্বর) পৃথকভাবে সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন।
কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্রলীগও। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি পালন করে।
মিছিলটি রাজধানীর জিরো পয়েন্ট ও গুলিস্তানের আশেপাশের সড়ক ঘুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘যারা রাতের অন্ধকারে চোরের মত জাতির পিতার ভাস্কর্য ভেঙেছে, দিনের আলোয় পারলে সামনে আসেন। যদি আপনাদের এতো ঈমানি শক্তি থাকে।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে ঢাবিতে হয়েছে মশাল মিছিল শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে এই মিছিল শুরু হয়। ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশে মিলিত হয়।
ভাস্কর্য ভাঙচুরের প্রতিবাদ জানিয়ে, রংপুরে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বের হয়। ধর্মের অপব্যাখ্যাকারীরা এঘটনার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে অবিলম্বে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা। পরে জাহাজ কোম্পানি মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকারীরা। প্রায় এক ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
ঝিনাইদহে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শনিবার সন্ধ্যায় বিশাল একটি বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীরা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে উল্লেখ করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান।
একই প্রতিবাদে বরিশাল, রাজশাহী, নেত্রকোনা, মাদারীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।