নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জে ধর্ষণবিরোধী মানববন্ধন থেকে তুলে নিয়ে দুই শিক্ষার্থীকে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগ উঠেছে। ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে ঘাট কর্তৃপক্ষের লোকেরা এ ঘটনা ঘটায়।
হাতুড়িপেটায় আহতরা হলেন- ঢাকা টিএন্ডটি কলেজের মিলন ও বন্দর কদম রসূল কলেজের মাসুম।হামলায় মিলনের ২ হাত ও মাসুমের ২ পা ভেঙে গেছে।খবর পেয়ে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বিকালের এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সারাদেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ নির্যাতন হত্যার বিচার দাবিতে ফতুল্লার সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন।
মানববন্ধন চলাকালে ফতুল্লা লঞ্চঘাটের সামনে গাড়ি না রাখতে অনুরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যানজট দেখা দিতে পারে বলে ঘাট কর্তৃপক্ষকে বোঝাতে থাকেন। এ সময় তর্ক বেধে গেলে ঘাটের পাহারা দেয়া মুন্না বাহিনীর নেতৃত্বে নিহাদ, হৃদয়, তানভীরসহ তাদের অনুসারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে মিলন ও মাসুম নামে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়।
ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৩০০ গজ দূরে থানায় দৌড়ে খবর দেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিয়ে বিলম্ব করায় ওই সময়ের মধ্যে দুই শিক্ষার্থীকে বেধড়ক হাতুড়িপেটা করে গুরুতর আহত করে হাত-পা ভেঙে দেয়।হামলাকারীরা পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ আহত দুজনকে উদ্ধার করে।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া জেলা ছাত্রলীগ নেতা শুভ জানান, তর্কের এক পর্যায়ে আমি গিয়ে হাজির হই। ওই সময় হামলাকারীরা দুই শিক্ষার্থীকে চড় মারে। আমি সমাধান করতে গেলে আমার ওপরও হামলা চালিয়ে দুজনকে তুলে নিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা থানায় গিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া দুই শিক্ষার্থীকে দ্রুত উদ্ধার করতে অনুরোধ জানাই। কিন্তু পুলিশ অবহেলা করে অনেক দেরি করে ঘটনাস্থলে যায়। এতে দুই শিক্ষার্থীকে ওই সময়ের মধ্যে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে ঘাট কতৃপক্ষ।
তারা বলেন, পুলিশ সময়মতো গেলে আমাদের শিক্ষার্থীদের হাত-পা ভাঙা থেকে রক্ষা করা যেত।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, লঞ্চঘাটের সামনে দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।