সিএনএস ডেস্ক:
দেশব্যাপি ধর্ষনের প্রতিবাদে মিছিল,সভা সমাবেশে এক শ্রেণীর লোকেরা আপত্তিকর বক্তৃতা ও ব্যানার পেষ্টুনে আপত্তিকর ছবি বা লেখা প্রদর্শন করে আসছে।অন্দোলনের নামে আপত্তিকর এ সকল কাযর্র্ক্রম বন্ধের লক্ষে পুলিশ সদর দফতর নাগরিকদের প্রতি বার্তা প্রেরণ করেছেন।
পুলিশ সদর দফতর থেকে আজ সন্ধায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শান্তিপ্রিয় জনগণের সমর্থনে দেশ ও জনগণের স্বার্থে যে কোনো মূল্যে অভ্যন্তরীণ শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশ বদ্ধপরিকর।
অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকার ও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা সত্ত্বেও একটি স্বার্থান্বেষী মহল ধর্ষণের ঘটনাগুলো ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তৎপর রয়েছে। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক তীক্ষ্ণ নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের মতো কয়েকটি জঘন্য ও ঘৃন্য অপরাধের প্রেক্ষিতে যুব সমাজের মধ্যে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামগ্রিক চলমান বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। দেশের সামাজিক শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিতকল্পে ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনায় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশ।
জনগণের প্রত্যাশাকে কৌশলে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে গোষ্ঠী ও দলগত হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে পায়তারা করছে। তাই, দেশের শান্তি ও শৃঙ্খলার স্বার্থে এবং উন্নয়নের চলমান ধারাকে অব্যাহত রাখতে রাষ্ট্রবিরোধী যে কোনো কর্মকাণ্ড সতর্কভাবে পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সবিশেষ অনুরোধ করা হলো।
একইভাবে, সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও নিষ্ঠার সাথে সর্বোচ্চ মান বজায় রেখে প্রতিটি মামলার তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করছে পুলিশ। সম্ভবপর দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এ সকল মামলার তদন্ত সম্পন্ন করে বিচারের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আদালতের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ সকল ঘৃন্য অপরাধীর যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত হবে।
সরকার জনআকাঙ্খা অনুযায়ী ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। জনগণের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতি রেখে সরকারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপরাধীদের শাস্তি প্রত্যাশা করে।