কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:
৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১০বছরের একটি এতিম শিশুকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত শিশুটি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা আট বছর আগে মারা গেছেন।
পুলিশ বলছে,ধর্ষণের অভিযোগে শিশুটিকে আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়রা বলছে দুই শিশুর পরিবারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। মামলাও রয়েছে।
আবার কেরানীগঞ্জ থানা-পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে শিশুটির বয়স উল্লেখ করেছে ১২ বছর। আর মামলায় শিশুটির বয়স দেখানো হয়েছে ১৪ বছর। তবে জন্মসনদ অনুযায়ী, শিশুটির জন্ম ২০১০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। অর্থাৎ তার বর্তমান বয়স ১০ বছর ২ মাস।
ঢাকার সদর কোর্টের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেফতার শিশুদের আনা-নেওয়ার আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই শিশুটিকে বয়স্ক আসামিদের সঙ্গেই প্রিজন ভ্যানে করে প্রথমে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। কাশিমপুর কারাগার কর্তৃপক্ষ শিশুটিকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির বয়স সম্পর্কে কেরানীগঞ্জের কলাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কাবুল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটিকে তিনি ভালোভাবে চেনেন। তার বয়স বড় জোর ১০ বছর। তার জানামতে, এই শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ৬ বছরের শিশুর পরিবারের জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। মামলাও রয়েছে।
ছয় বছর বয়সী ওই শিশুর মায়ের করা মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে গত মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায়। শিশুটি বাড়ির পাশে খেলতে গিয়েছিল। তখন শিশুটিকে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। শিশুটি কান্নাকাটি করলে ওই শিশুটি (আটক হওয়া) তাকে ছেড়ে দেয়। এ মামলার আসামির তালিকায় ওই শিশু ছাড়া তার চাচাতো ভাই ২২ বছর বয়সী আরেক তরুণকে আসামি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ৯০ হাজার টাকা দামের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
তবে গ্রেফতারকৃত শিশুটির আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির বয়স মাত্র ১০ বছর। ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। হয়রানির উদ্দেশ্যে এই মামলা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তামিমা আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির বয়স নির্ধারণের জন্য প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন। সব তথ্যই তিনি সংগ্রহ করবেন।
এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ছয় বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর শিশুটিকে গ্রেফতার করা হয়।