গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুরে সালনা কাথোরা এলাকায় এক পরিবহন নেতার স্ত্রী তার স্বামীর সাথে পরকিয়ার অপবাধ দিয়ে অন্য আরেক নারীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে ও নির্যাতিতা নরীটির মাথার চুলও কেটে দেয় পরিবহন নেতার স্ত্রী ও তার লোকেরা। এবং নির্যাতিতা নারীকে বলা হয় যদি তার স্বামীর সাথে আর পরকিয়ায় লিপ্ত হয় তা হলে তার দেহের বিবস্ত্র চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে।
ঘটনার একদিন পর ভুক্তভোগী নারী থানায় মামলা করলে প্রধান অভিযুক্ত পরিবহন নেতা বাবুলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ও তার সহযোগী শাহিদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী নারীটি জানায় গত ২৫ অক্টোবর তাকে রিক্সা থেকে জোর করে নামিয়ে নিয়ে যায় আটককৃত ফাহিমা,শাহিদাসহ আরও কয়েকজন। তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে আটকে রেখে তাকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে এক পর্যায়ে তারা নারীটিকে বিবস্ত্র করে তাদের মোবাইলে সে চিত্র ধারণ করে। এরপর নারীটির মাথার চুলও কেটে দেয় তারা। তাকে ছেড়ে দেয়ার আগে বলা হয়, যদি বাবুলের সাথে আর সম্পর্কে জড়ায় তা হলে তার দেহের বিবস্ত্র চিত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হবে। ভুক্তভোগী নারীটি বলেন বাবুল এলাকার নেতা হিসেবে তাকে চিনি কিন্তু তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
এ বিষয়ে পরিবহন নেতা বাবুলের মুঠো ফোনে বারবার কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।
জিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি উত্তর) মো. জাকির হাসান বলেন, ঘটনাটি খুবি দু:খ জনক শুদুমাত্র অনুমান নির্ভর হয়ে এক নারী অন্য আরেকজন নারীকে এমন নির্যাতন করা নোংরা মানসিকতার পরিচয় বহন করে।
তিনি জানান,থানায় অভিযোগ দেয়ার পর মঙ্গলবার রাতে প্রধান আসামি পরিবহন নেতা বাবুলের স্ত্রী ফাহিমা আক্তার ও তার সহযোগী শাহিদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার অধিকাংশ আসামিরাই নারী। তারা নিজেদের বাসা থেকে পালিয়ে গেছে তাই তাদের গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।