অনলাইন ডেস্ক:
ছোট্ট কাঁচা ঘর, সামনে উঠান বলতে মাত্র ক’হাত। ঘর ভিটা আর পেছনের পুকুরের একটা অংশ ছাড়া আর কোন জায়গা নেই বিবি হাজেরার। দরজার সামনের জায়গাটি ওই বাড়ির মিয়া ড্রাইভারের। পাশের জায়গাটি শ্বাশুড়ী হাছিনা বেগমের। দুই পরিবারের রোষানলে পড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন হাজেরা। কিশোরী মেয়েটিকে নিয়ে ঘর থেকে বের হওয়ার আর কোন পথ নেই।
তাই নিরুপায় হাজেরা ঘরের পেছনের পুকুরে বাশের সাঁকো তৈরি করেন। গত ক’দিন ধরে ওই সাঁকোটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে সমালোচনার ঝড়।
বুধবার সকালে কথা হয় সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের চরকৃষ্ণজয় গ্রামে বিবি হাজেরার সাথে।
তিনি জানান, দুই ছেলে- দুই মেয়ে রেখে স্বামী মানিক প্রায় বছর দশেক আগে চলে যায়। অর্থাভাবে ছেলে দু’জন পড়াশোনা বাদ দিয়ে কাজের খোঁজে চলে যায়। বড় মেয়েটিকেও বিয়ে দেয়া হয়। এখন হাজেরা এবাড়ি ওবাড়ি কাজ করে ছোট মেয়েটিকে নিয়ে স্বামীর ভিটায় বসত করেন। ভিটার জায়গাটি ওই বাড়ির মিয়া ড্রাইভার থেকে কিনে নেন তারা। তখন শর্ত ছিলো- বাড়ির ওপর দিয়ে হাঁটা-চলা করতে পারবেন। কিন্তু একসময়ে ঘরের সামনে কাঁটার বেড়া দেয় মিয়া ড্রাইভারের ছেলে রুবেল। বের হওয়ার অপর পথটিও সম্প্রতি তার শ্বাশুড়ী টিন ও বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। তাই নিরুপায় হয়ে পুকুরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে তিনি চলাফেরা করেন।
রুবেল জানান, তাদেরও জায়গা-জমি আগের মতো নেই। তাই তারা ওই পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন। কথা হয় হাজেরার শ্বাশুড়ী বৃদ্ধা হাছিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, গত কিছুদিন আগে ছেলের বউ ও নাতিনের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এর জের ধরে তিনি পথটি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম জানান, তিনি সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
সূত্র:-ফেনীর সময়