আদালত প্রতিবেদক:
সাভারের আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাবুদ্দিন মাদবরসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী রোববার ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন।
তরুণীর অভিযোগ পাওনা টাকা উদ্ধারে সহায়তা চাইতে যাওয়ায় চেয়ারম্যান দল বল নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন জবানবন্দি গ্রহণের শুনানি শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। যা বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর দুই আসামিরা হলেন- চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবরের শ্যালক মো. আলমগীর (৩৮) এবং ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সবুজ সিকদার (৩৫)।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী আশুলিয়া বাজারে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫ লাখ টাকা পান। দীর্ঘ দিনেও ওই ব্যক্তি তাকে টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। এ বিষয়ে ২২ সেপ্টেম্বর বিচার চাইতে এক আত্মীয়কে নিয়ে ওই তরুণী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে যান।
তাকে সেখানে না পেয়ে তারা চেয়ারম্যানের বাড়িতে যান। চেয়ারম্যান তাকে পাওনা টাকা ফেরত পেতে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরে তারা চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
কিন্তু আসামি আলমগীর ও সবুজ সিকদার তাদের পথরোধ করে বলেন, ‘তোমাদের আগমন সন্দেহমূলক। তোমরা চেয়ারম্যানের ক্ষতি করার জন্য এখানে এসেছো। কী কারণে এখানে এসেছো না বললে তোমাদের পিঠের চামড়া তুলে নেবো।
তারা তাদের মারধর করে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান। সেখানে তাদের দুই জনকে দুই রুমে আটকে রাখেন। দুপুরে ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর ওই তরুণীর রুমে ঢুকে তাকে মারধর করেন এবং পুলিশে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টাও চালায়।
শাহাবুদ্দিন মাদবর রুম থেকে বের হওয়ার পর আলমগীর ও সবুজ রুমে প্রবেশ করে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তারা ওই তরুণীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকিও দেয় আসামিরা।
এরপর চেয়ারম্যান আশুলিয়া থানা থেকে পুলিশ ডেকে এনে তাদের পুলিশের দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ সব শুনে তাদের গ্রেফতার না করে চলে যান।